ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম এবং কীভাবে ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত লিখতে হয় এসব বিষয় নিয়ে আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে থাকেন এবং কোনো ভুল হয়েছে বা অন্য কোনো কারণে আপনার আবেদনটি বাতিল করতে চান, তবে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

এখন ই পাসপোর্ট এর আবেদন অনলাইনে করা যায়। আপনি যদি আবেদন করার সময় কোনো ভুল করে থাকেন, তবে এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন কীভাবে আবেদন বাতিল করতে হয়।

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল

অনলাইনে করা ই পাসপোর্ট এর আবেদন বাতিল করার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বরাবর একটি পাসপোর্ট বাতিলের দরখাস্ত লিখতে হবে। দরখাস্তের সাথে আপনার আবেদনের Application Summary সংযুক্ত করে দিবেন। ১/২ কর্মদিবসের মাঝেই আপনার ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিলের দরখাস্ত অনুমোদন করে আবেদন বাতিল করা হবে।

পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার জন্য আপনাকে আলাদা করে কাউকে টাকা দিতে হবে না। কারণ, আপনি ছোট্ট একটি দরখাস্ত লিখে এর সাথে আপনার আবেদনের কপি যুক্ত করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলেই আপনার পাসপোর্ট আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। এছাড়াও, আপনি যদি ভুলভাবে আবেদন করেন এবং আবেদন বাতিল করতে চান, কিংবা অন্য কোনো কারণে ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করতে চান, তবে আবেদনের কপি পাসপোর্ট অফিসে জমা দিবেন না।

আরও পড়ুন – পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক

আবেদনের কপি পাসপোর্ট অফিসে জমা না দিলে ৬ মাসের মাঝেই বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু, ৬ মাস অপেক্ষা করার থেকে সবথেকে ভালো হবে আপনি যদি ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত লিখে জমা দেন। চলুন, দরখাস্ত লেখার নিয়ম জেনে নেয়া যাক।

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত

পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বরাবর একটি দরখাস্ত লিখে জমা দিতে হয়। কীভাবে এই দরখাস্তটি লিখবেন, তার একটি নমুনা নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি। নমুনা অনুসরণ করে সহজেই একটি দরখাস্ত লিখে জমা দিলে আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে।

তারিখ: ০৪/১০/২০২৩ খ্রিঃ
বরাবর,
সহকারী পরিচালক,
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস,
রংপুর।

বিষয়: ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার আবেদন

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ ফারহান ইসলাম, পিতা:মোঃ মফিজার রহমান, মাতা:মোছাঃ ফেরদৌসি বেগম। আমি গত ৩০/০৯/২০২৩ তারিখে ই পাসপোর্টের একটি জন্য আবেদন করি। উক্ত আবেদনের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি নাম্বার OID10075893 । কিন্তু ভুলবশত ই-পাসপোর্ট আবেদনে আমার নাম এবং আমার পিতার নাম ভুল লিখেছি। তাই, উক্ত আবেদনটি বাতিল করে আমি নতুনভাবে আবেদন করতে চাই।

অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত আবেদন এই যে, আমার সমস্যার কথা বিবেচনা করে ই-পাসপোর্ট আবেদনটি বাতিল করতে আপনার একান্ত মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক-
মোঃ ফারহান ইসলাম
রংপুর সদর, রংপুর
মোবাইল – 01876489302

উপরোক্ত পদ্ধতি বা নমুনা অনুসরণ করে একটি দরখাস্ত লিখে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। দরখাস্ত জমা দেয়ার ২-৩ কর্মদিবসের মাঝে আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করে দেয়া হবে। অতঃপর, আপনি আবারও নতুন করে একটি ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনাকে আলাদা করে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে না পাসপোর্ট আবেদন বাতিল হওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন – নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক

পাসপোর্ট বাতিল আবেদন করলে পেমেন্ট/চালান বাতিল হবে?

পাসপোর্ট আবেদন করার সময় আবেদন ফি জমা দিতে হয়। দুইটি পদ্ধতিতে আবেদন ফি জমা দেয়া যায়। একটি হচ্ছে এ চালান এবং আরেকটি হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। আপনি যদি এ চালান দিয়ে পাসপোর্ট আবেদনের ফি জমা দিয়ে থাকেন, তবে আবেদন বাতিল করলে আপনার পেমেন্ট বা চালান বাতিল হবে না। পরবর্তীতে  আবারও আবেদন করতে উক্ত চালানটি ব্যবহার করতে পারবেন।

আরও পড়ুন – পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

কিন্তু, আপনি যদি পাসপোর্ট আবেদন করার সময় মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে থাকেন, তবে উক্ত পেমেন্টটি বাতিল হয়ে যাবে। নতুন করে আবেদন করার সময় আপনাকে আবারও পেমেন্ট করতে হবে। আশা করছি, বুঝতে পেরেছেন যে আপনার পাসপোর্ট আবেদনের পেমেন্ট বাতিল হবে কী না। সেফ মেথডে থাকার জন্য এ চালান দিয়ে আবেদন করুন। কারণ, এই এ চালান এর মেয়াদ থাকে ৬ মাস। ৬ মাসের মাঝে আপনি এ চালানটি একবার ব্যবহার করতে পারবেন। পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করেও ব্যবহার করতে পারবেন।

আমাদের শেষ কথা

বাংলায় আইটির আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম এবং আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তবে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে কীভাবে আবেদন বাতিল করতে হয়। আবেদন বাতিল হলে আপনার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসবে। অতঃপর, আপনি আবারও ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন আপনার প্রোফাইল থেকে।

Leave a Comment