পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে ছিলেন অনেকেই জানেন না। আবার, অনেকের মাঝেই ভ্রান্ত ধারণা আছে পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষ কে, তা নিয়ে। তাই, আজকের এই ব্লগ পোস্টে আপনাদের সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে ছিলেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
পৃথিবীর ইতিহাস পড়তে গেলে অনেক নিকৃষ্ট মানুষের নাম সামনে চলে আসে। যাদের মাঝে অনেকেই সবথেকে নিকৃষ্ট ছিলেন। কিন্তু, আমরা পরিসংখ্যান করে বলতে পারি না যে, কে সবথেকে খারাপ মানুষ ছিলেন। দুনিয়ার সবথেকে খারাপ মানুষ কে ছিলেন জানার জন্য এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে
পৃথিবীর ইতিহাসে নমরুদ সবচেয়ে খারাপ মানুষ ছিলেন। তিনি আল্লাহ্র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে নমরুদ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি নেই যে, মহান সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। নমরুদ ছাড়া আরও কয়েকজন মানুষ সবথেকে ঘৃণ্য হিসেবে মানুষের কাছে পরিচিত। এদের মাঝে একজন হচ্ছে এডলফ হিটলার। এডলফ হিটলার ৬০ লক্ষ্য ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন। এজন্য তাকে পৃথিবীর সবথেকে ঘৃণ্য মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে ছিলেন
ফেরাউন পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষ ছিলেন যিনি কিনা নিজেকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে দাবী করেছিলেন (নাউজুবিল্লাহ)। মহান আল্লাহ্ তায়ালার সকল নিয়ামত ভোগ করার পরেও নিজেকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে দাবী করা ফেরাউন মুসা (আ.) কে তাড়া করার সময় আল্লাহ্র নির্দেশে সমুদ্রে ডুবে মারা গিয়েছে। আল্লাহ্র কুদরত হিসেবে ফেরাউন এর লাশ এখন অব্দি পচে যায়নি।
না পানি, না মাটি ফেরাউন এর লাশ গ্রহণ করেছে। ফেরাউন এর লাশ এখন মমি আকারে মিশরে সংরক্ষিত আছে। ফেরাউন বেঁচে থাকা অবস্থায়, নিজেকে খোদা দাবী করতো (নাউজুবিল্লাহ), কিন্তু কোনো বিপদে পড়লে মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে ডাকতো। মুসা (আ.) ও তার অনুসারীদের হত্যা করার জন্য ফেরাউন অনেক পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ নিয়েছিলো। কিন্তু, শেষ অব্দি মহান আল্লাহ্র নির্দেশে মুসা আলাইহিস সাল্লাম লাঠির বাড়ি দিয়ে সমুদ্রের মাঝে তৈরি হওয়া রাস্তা পেড়িয়ে যায় এবং ফেরাউন ও তার অনুসারীরা সমুদ্রের মাঝে ডুবে মরে।
ফেরাউন শুধু নিজেকে খোদা দাবী করেনি, এছাড়াও আরও অনেক নিকৃষ্ট কাজ করেছে ফেরাউন। ফেরাউন এর লাশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি বা ২০১ সেন্টিমিটার।
পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষ কে
পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষ এবং সবথেকে প্রথম খারাপ মানুষ হিসেবে কাবিলকে সবাই জানে। কাবিল তার আপন ভাই হাবিলকে হত্যা করেছে। হযরত আদম (আ.) এবং হযরত হাওয়া (আ.) এর সন্তান হাবিল এবং কাবিল। কাবিল তার আপন ভাই হাবিলকে হত্যা করেছে। এই হত্যা মানবজাতি এবং পৃথিবীর মাঝে সর্বপ্রথম হত্যা। কাবিল তার আপন ভাই হাবিলকে হত্যা করে কবর দেয়। এটাই পৃথিবীর সর্বপ্রথম কবর।
তাই, সবাই কাবিলকে সবথেকে খারাপ মানুষ হিসেবে জানে। কারণ, সে সর্বপ্রথম তার আপন ভাইকে হত্যা করেছিলো।
পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষ কে ছিলেন
পৃথিবীর সবথেকে খারাপ মানুষ ছিলেন চেঙ্গিস খান। তিনি মঙ্গলে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তিনি একাই পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গা জয় করেছিলেন যুদ্ধ করে। একাই প্রায় চার কোটি মানুষের হত্যার জন্য দায়ি তিনি। তাই, তাকে পৃথিবীর সবথেকে ঘৃণ্য মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ক্ষমতার লোভ একজন মানুষকে কতদূর অব্দি নিয়ে যেতে পারে তা, চেঙ্গিস খানের জীবনি না পড়লে বুঝা যাবে না।
পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক মানুষ এসেছিলেন যারা অনেক নিকৃষ্ট ছিলেন। অনেকেই অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছেন শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার লক্ষে এবং ক্ষমতা লাভের আশায়। কেউ নিজেকে খোদা দাবী করে সমুদ্রে ডুবে মরেছে, আবার কেউ সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলো। এমন আরও অনেক মানুষ পৃথিবীতে এসেছিলেন। যা আমরা অনেকেই জানি না।
পৃথিবীর খারাপ মানুষগুলোর তালিকা করতে গেলে অনেক মানুষের নাম চলে আসবে। অবিচার, শোষণ করে কেউ কখনো মহান সৃষ্টিকর্তার থেকে পার পেয়ে যায়নি এবং ভবিষ্যতেও পার পাবে না। লোভ-ক্ষোভ, অহংকার এর বশবর্তী হয়ে নিকৃষ্ট হওয়ার থেকে সাধারণ জীবনযাপন করা অধিক উত্তম। মানুষ আজিবন এই দুই দিনের দুনিয়ায় বেঁচে থাকবে না, কিন্তু তার করে যাওয়া ভালো কাজ সর্বদা মানুষের মনে এবং পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা থাকবে।
তাই, খারাপ মানুষের তকমা পাওয়ার থেকে মানুষের জন্য, পৃথিবীর জন্য ভালো এবং মঙ্গলজনক কাজ করে যাওয়া উত্তম। এতে করে, পরকালে মহান আল্লাহ্ যেমন আমাদেরকে ভালো এবং উত্তম প্রতিদান দান করবেন তেমনি আমরা আজিবন বেঁচে থাকতে পারবো এই দুনিয়ার মানুষের মনে এবং পৃথিবীর ইতিহাসে। পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মানুষ আজিবন মনে রাখবেন। আমাদের উচিত তার জীবনী পড়ে তার মতো জীবনযাপন করা। এতে করে, ইহকাল এবং পরকাল উভয় সুখের হবে।
শেষ কথা
বাংলায় আইটি ব্লগের আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে ছিলেন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে এতক্ষণে কয়েকজন নিকৃষ্ট মানুষের পরিচিতি ও জীবনী জানতে পেরেছেন বলে ধারণা করছি। এমন আরও বিভিন্ন ইনফো জানতে আমাদের ওয়েবসাইট বুকমার্ক করে কিংবা প্রতিনিয়ত ভিজিট করতে পারেন। আল্লাহ্ হাফেয।