রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে জানেন? দেশ পরিচালনা করার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন লাগে। সর্বপ্রথম কে এই নিয়মগুলো তৈরি করেছেন বা কে রাষ্ট্র বিষয়ক সকল সমস্যার সমাধান সর্বপ্রথম দিয়েছেন জানেন? আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে ছিলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনকের নাম কি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনকের জন্ম সাল কত সহ আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলায় আইটির আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে ছিলেন
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক ছিলেন এরিস্টটল। আধুনিক উপায়ে রাষ্ট্র সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান বৈজ্ঞানিক উপায়ে সর্বপ্রথম দেয়ার জন্য এরিস্টটলকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। এরিস্টটল ছিলেন প্লেটোর শিষ্য, আলেকজান্ডার এর শিক্ষক এবং একজন গ্রিক দার্শনিক। এরিস্টটল তার জীবদ্দশায় অনেক বই রচনা করেছেন। এর মাঝে, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রাণীবিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান, কবিতা, সঙ্গীত, নন্দনতত্ত্ব, রাজনীতি, ভাষাবিজ্ঞান, সরকার এবং অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য।
অর্থাৎ, এরিস্টটল তার পুরো জীবনে এসব বিষয়ে অনেক বই রচনা করেছেন।
আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে ছিলেন
রাষ্ট্র সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান আধুনিক উপায়ে সমাধানের জন্য এরিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে। এরিস্টটল স্টাগিরাস নামক একটি গ্রিক উপনিবেশে ৩৮৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পেশায় একজন গৃহচিকিৎসক ছিলেন। চিকিৎসা ব্যবসায় থেকেই তাদের পরিবারের জীবিকা চলতো। আধুনিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র সম্পর্কিত সকল সমস্যার সমাধান সর্বপ্রথম দেয়ার কারণে এরিস্টটলকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
এরিস্টটল দ্যা গ্রেট আলেকজান্ডারকে ১৬ বছর বয়সে শিক্ষাদান করেন।
এরিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন?
এরিস্টটল সর্বপ্রথম রাষ্ট্র বিষয়ক সকল সমস্যার সমাধান আধুনিক উপায়ে দিয়েছেন, তাই তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি রাজনীতি, সরকার, যুক্তিবিদ্যা, অর্থনীতি সহ আরও অনেক বিষয়ে বই রচনা করেছেন। তা জীবদ্দশায় তিনি পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রাণীবিজ্ঞান, কবিতা, ভাষাবিজ্ঞান সহ আরও অনেক বিষয়ে বই লিখেছেন। এছাড়াও, তিনি ছিলেন প্লেটোর শিষ্য এবং দ্যা গ্রেট আলেকজান্ডার এর শিক্ষক।
- আরও পড়ুন – পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন
এরিস্টটল তার জীবদ্দশায় রাস্ট্রবিজ্ঞান সহ আরও অনেক বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন এবং এসব বিষয়ের উপর বই অব্দি লিখেছেন। তিনি রাস্ট্রের বিভিন্ন সমস্যা সর্বপ্রথম আধুনিক উপায়ে সমাধান দেয়ার জন্য তাকে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক খেতাব দেয়া হয়। তাই, এরিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কী
রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখা। যেখানে রাষ্ট্র বিষয়ক, রাজনীতি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান আধুনিক উপায়ে সমাধান করা হয়ে থাকে। এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিজ্ঞান বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক।
সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বা পুরো পৃথিবীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক একজনই। তিনি হচ্ছেন এরিস্টটল। এরিস্টটল সর্বপ্রথম রাষ্ট্র বিষয়ক অনেক সমস্যার সমাধান দেয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বনে যান।
রাষ্ট্র দর্শনের জনক কে?
এরিস্টটল রাষ্ট্র দরশনের জনক। তিনি সর্বপ্রথম রাষ্ট্র বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার আধুনিক উপায়ে ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সমাধান দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে।
আধুনিক ভারতীয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?
আধুনিক ভারতীয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হচ্ছেন এরিস্টটল। তিনি সর্বপ্রথম রাষ্ট্র বিষয়ক সমস্যার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সমাধান দেয়ায় তাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে।