পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে তা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকের মাঝেই দ্বিধা রয়েছে যে, পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন। বাংলায় আইটির আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন।
ইসলামিক দিক থেকে হোক কিংবা পারিপার্শ্বিক দিক থেকে হোক, চারিদিক থেকেই পৃথিবীতে এখন অব্দি একজন ভালো মানুষ এসেছিলেন। তার মতো মানুষ এই পৃথিবীতে আর কেউ কখনো আসবে না। আল্লাহ্ তায়ালা পৃথিবী তৈরি করার আগেই তাকে তৈরি করেছিলেন। অনেকেই জানেন না তিনি কে। তো চলুন, জেনে নেয়া যাক সবথেকে ভালো মানুষের নাম।
এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তার মতো মানুষ এই দুনিয়াতে আর কেউ কখনো আসবে না। তিনি মহান আল্লাহ্ তায়ালার একমাত্র বন্ধু। তিনি আমাদের মুসলমানদের নবী এবং রাসুল। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতের জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। তিনি মানুষের দেয়া অনেক অপমান, দুঃখ সহ্য করেও তাদের মঙ্গল কামনা করে গেছেন।
আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন পৃথিবীর সবথেকে ভালো মানুষ কে, তবু সেখানে আমাদের প্রিয় নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম উঠে আসবে। মহানবী (সা.) এর জন্য পুরো মুসলিম বিশ্ব পাগল। তাকে না দেখেই তার উপর বিশ্বাস করে তার দেখানো পথে পুরো মুসলিম জাতি আল্লাহ্র ইবাদত করছে। আল্লাহ্ তায়ালার উপর বিশ্বাস করলে নবী (সা.) এর উপরও বিশ্বাস করতে হবে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর বিশ্বাস না থাকলে একজন মানুষ প্রকৃত মুসলিম হতে পারবে না মুমিন হওয়া তো অনেক পরের কথা।
তাই, আমরা যদি ইহকাল এবং পরকালে মহান আল্লাহ্ তায়ালার রহমত এবং বরকত এর অধীনে থাকতে চাই, তবে মহান আল্লাহ্ তায়ালার উপর বিশ্বাস করতে হবে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপরেও বিশ্বাস করতে হবে ও তার সকল সুন্নত মেনে চলতে হবে। তবেই, আমরা পরকালে তার থেকে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুপারিশ ব্যতীত আমরা কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো না। তিনি সরবকালের সেরা মানব। তাই, তাকেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ বলা হয়ে থাকে। আশা করছি, পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে জানতে পেরেছেন।
পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি তার উম্মতের জন্য উম্মতের থেকেই অনেক কষ্ট, ব্যাথা পেয়েছেন। মহান আল্লাহ্ তায়ালা তাকে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছিলেন পথভ্রষ্ট মানুষকে আল্লাহ্র পথে নিয়ে আসার জন্য। তিনি তার উম্মতের জন্য এখনো কবরে বসে কান্না করছেন। আমরা মহানবী (সা.) এর উম্মত। তার সাথে জান্নাত যেতে চাইলে, তার সুপারিশ পেতে চাইলে আমাদের সকলের উচিত তার সুন্নত মেনে চলা।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরকালে তার উম্মতদের চিনবেন তাদের চেহারার নুর দেখে। যারা দুনিয়ায় নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পথে জীবন পরিচালনা করেননি, তার সুন্নত অনুসরণ করেননি তাদের চেহারায় আখিরাতে কোনো নুর দেখা যাবে না। মহান আল্লাহ্ তায়ালার উপর বিশ্বাস করার পাশাপাশি আমাদের উচিত নবী (সা.) এর সুন্নত মেনে জীবন চালনা করা।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন
পৃথিবীর সবথেকে ভালো মানুষ ছিলেন আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি দুনিয়ার সর্বশেষ নবী ও রাসুল এবং মহান আল্লাহ্ তায়ালার বন্ধু। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা নগরিতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহন করেন। তিনি মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি অনেক কষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন।
শৈশবে মাকে হারিয়ে এতিম হন এবং দাদা আব্দুল মুত্তালিব ও চাচা আবু তালিবের নিকট লালিত-পালিত হন। তিনি ৪০ বছর বয়সে হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায় নবুয়ত লাভ করেন। হযরত জিবরাঈল (আ.) মহান আল্লাহ্র নিকট থেকে ওহি নিয়ে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন মহানবী (সা.) এর নিকট আসেন। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৬১০ খ্রি. সবার নিকট প্রকাশ্যে ওহি প্রচার করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ্র নির্দেশে হযরত জিবরাঈল (আ.) আসমানে নিয়ে যান এবং সেখানে আল্লাহ্ তায়ালা তার উম্মতের জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে। ফিরে আসার সময় মুসা (আ.) নবী কারিম (সা.) কে বললেন আরও কমিয়ে আনতে। এভাবে করে মহানবী (সা.) কয়েক দফা কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ (ফজর, জোহর, আছর, মাগরিব এবং এশা) নিয়ে তার উম্মতের কাছে আসেন। তখন থেকে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা আমাদের সকলের জন্য ফরজ। নামাজ হচ্ছে জান্নাত যাওয়ার চাবিকাঠি।
আমরা যদি জান্নাত যেতে চাই, অনন্তকালের সুখের স্থানে যেতে চাই, তবে অবশ্যই আল্লাহ্র উপর ইমান আনতে হবে, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত মানতে হবে এবং সকল ফরজ, সুন্নত ও নফল ইবাদত পালন করতে হবে। এছাড়াও, দান করা, সবাইকে সাহায্য করা সহ সকল মানবিক গুনাবলি আমাদের মাঝে থাকতে হবে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে তা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। নবী (সা.) তার জীবনে তিনি কত উদার ছিলেন তা লিখে বুঝানো সম্ভব না। তিনি সর্বদাই তার উম্মতের কল্যাণের জন্য একনিষ্ঠ ছিলেন।
শেষ কথা
পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন এবং তার জীবনে তিনি কত ন্যায়পরায়ণ ও সৎ ছিলেন তা আমরা হাদিস এবং কুরআন পড়লে জানতে পারবো। একজন পরিপূর্ণ মুসলিম ও মুমিন হতে হলে আমাদের অবশ্যই মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর বিশ্বাস করতে হবে এবং তার দেখানো পথ অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে। তিনি ছিলেন সর্বকালের সেরা মানব। আমাদের উচিত তার সকল সুন্নত মেনে জীবন চালনা করা। তবেই আমরা পরকালে তার থেকে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে জান্নাতে যেতে পারবো।