ব্লগিং কি? ব্লগিং করে আয় করার উপায়

ব্লগিং কি এবং ব্লগিং করে আয় করার উপায় জানতে চান, কিন্তু বিস্তারিত কোনো তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না? ব্লগিং শিখে একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান, ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান, কিন্তু কিভাবে ব্লগিং করতে হয় বা কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয় জানেন না? আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো, ব্লগিং কি, কিভাবে ব্লগিং করবেন এবং ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে উপরোক্ত সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

ব্লগিং কি?

ব্লগিং কি এবং ব্লগিং করে আয়

আপনি আমার এই লেখাটি নিশ্চয়ই একটি ওয়েবসাইটে পড়ছেন। আমি নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকি। আমার এই কাজটাই হচ্ছে ব্লগিং। আরও সহজ করে বললে, আপনি যদি কোনো বিষয়ের উপর একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে লেখালেখি করেন, তবে সেটিকে ব্লগিং বলা হবে। ব্লগিং হতে পারে যেকোনো বিষয়ের উপর। আপনি আপনার ইচ্ছেমত যেকোনো টপিক নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন।

আপনি যদি টেকনোলজি নিয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তবে টেকনোলজি নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। কিংবা, পড়ালেখা, মুভি রিভিউ, প্রোডাক্ট রিভিউ, ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ের উপর ব্লগিং করতে পারেন। আমরা শুধু লিখে গেলাম কিন্তু কোনো মানুষ সেটি পড়লো না, তাহলে কিন্তু সেটাকে ব্লগিং বলতে পারি না। আমাদের লেখার একটি উদ্দেশ্য থাকতে হবে। লেখকরা লিখে থাকে পাঠকের জন্য। তেমনি আমরাও আমাদের ব্লগে(ওয়েবসাইট) লেখালেখি করবো যেন মানুষ সেগুলো পড়ে।

আরও পড়ুন – ফেসবুক স্ট্যাটাস ক্যাপশন

আপনি নিশ্চয়ই গুগল ব্যবহার করেছেন, তাই না? কোনো বিষয়ে না জানলে আমরা গুগলে গিয়ে সার্চ দেই। গুগল আমাদের সামনে অনেক তথ্য এবং ওয়েবসাইট প্রদর্শন করে। কোথায় পায় গুগল এসব তথ্য? আপনি যদি এখন অনলাইনে টাকা ইনকাম করার উপায় লিখে গুগলে সার্চ করেন, তবে গুগল আপনার সামনে কিছু ওয়েবসাইট দেখাবে। যেখানে গেলে আপনি কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হয় সে বিষয়ে তথ্য পাবেন। গুগলে কিছু লিখে সার্চ দেয়ার পর আমাদের সামনে যেসব ওয়েবসাইট প্রদর্শিত হয়, সেগুলো হচ্ছে ব্লগ।

আরও পড়ুন – ব্লগ তৈরির নিয়ম

উক্ত ব্লগগুলোতে দেখবেন অনেক বিষয়ের উপর লেখালেখি করা হয়ে থাকে। এসব ওয়েবসাইট বা ব্লগে যে কাজগুলো করা হয়, সেটাই হচ্ছে ব্লগিং। পরিশেষে এটাই বুঝাতে চাচ্ছি যে, ব্লগিং করা মানে শুধু লেখালেখি করা নয়। শুধু লেখালেখি করলে তাকে কন্টেন্ট রাইটিং বলা হয়। কিন্তু, যখন একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে লেখালেখি করে, ওয়েবসাইট গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করানো হয়, ভিজিটর এসে আমাদের ওয়েবসাইটের লেখা পড়ে, তখন সেটাকে ব্লগিং বলে।

সকল ব্লগারই কন্টেন্ট রাইটার, কিন্তু সকল কন্টেন্ট রাইটার ব্লগার না।

ব্লগার কে বা কারা?

উপরে একটি উদাহরণ দিয়েছি, আমরা যখন গুগলে কিছু লিখে সার্চ দেই, তখন অনেক ওয়েবসাইট সামনে আসে। এসব ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করা হয়ে থাকে। আপনি উক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে দেখবেন, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয়ে লেখা পাবলিশ হয়ে থাকে। এই লেখাগুলো লিখে কে? নিশ্চয়ই প্রতিটি ওয়েবসাইটের লেখাগুলো কেউ একজন বা কয়েকজন ব্যক্তি মিলে লিখে থাকে। যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকে, ওয়েবসাইট গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) করে থাকে তাদেরকে ব্লগার বলা হয়ে থাকে।
বাংলায় আইটি

প্রতিটি ব্লগার তার ওয়েবসাইটে নিত্যনতুন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে থাকে, সেসব লেখা যেন ভিজিটর এর কাছে পৌঁছায়, এজন্য এসইও করে থাকে। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ মানুষের প্রয়োজন এমন কন্টেন্ট লেখার পর, উক্ত কন্টেন্ট যেন মানুষের কাছে পৌঁছায়, সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন, সব একজন ব্লগার করে থাকে।

ব্লগারদের মাঝে আবার কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন – কেউ শখের বসে ব্লগিং করে, আবার কেউ Digital Marketer হিসেবে ব্লগিং করে। একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর বহুবিধ কাজের মাঝে ব্লগিং একটি। অনেক Digital Marketing Expert তাদের প্রয়োজনে ব্লগিং করে থাকে।

ব্লগিং এর প্রকারভেদ

ব্লগিং এর ধরণ অনুযায়ী কয়েক ভাগে বিভক্ত। আপনি কোন বিষয়ের উপর ব্লগিং করবেন, তার উপর নির্ভর করে ব্লগিং এর প্রকারভেদ রয়েছে। ব্লগিং এর বিভিন্ন প্রকারভেদ নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি।

  • ব্যক্তিগত ব্লগিং
  • সামাজিক ব্লগ
  • কোম্পানি/প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগ
  • বিনোদন মূলক ব্লগ
  • প্রশ্ন-উত্তর ব্লগ
  • খবরের ব্লগ

ব্যক্তিগত ব্লগিং

ব্যক্তিগত ব্লগিং কি? একজন ব্যক্তি যখন তার নিজের সম্পর্কে, নিজের তথ্য, স্কিল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়, বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিজস্ব মতামত নিয়ে লেখালেখি করে, তখন তাকে ব্যক্তিগত ব্লগিং বলে। আপনি আপনার একটি ব্যক্তিগত ব্লগ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে পারেন।

সামাজিক ব্লগ

সমাজের বিভিন্ন বিষয়, সামাজিক ইতিহাস, ইত্যাদি নিয়ে যখন একটি ব্লগ তৈরি করে সেখানে লেখালেখি করা হয়ে থাকে, তখন সেটিকে সামাজিক ব্লগ বলা হয়ে থাকে।

কোম্পানি/প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগ

একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান যখন তাদের প্রয়োজনে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে, তখন সেটিকে প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগ বলা হয়। একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগে উক্ত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করা থাকে। কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সেবা সম্পর্কে তথ্য দেয়া থাকে।

বিনোদন মূলক ব্লগ

একটি ব্লগে যখন বিভিন্ন বিনোদনমূলত বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা হয়, তখন সেটিকে বিনোদনমূলক ব্লগ বলা হয়। একটি বিনোদনমূলক ব্লগে বিভিন্ন ধরণের গল্প, মুভি রিভিউ, গান, কবিতা, ইত্যাদি থাকতে পারে।

প্রশ্ন-উত্তর ব্লগ

Quora কিংবা বাংলাদেশের Bissoy হচ্ছে একটি প্রশ্ন-উত্তর ব্লগ। এ ধরণের ব্লগে মানুষ তাদের অজানা বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকে। এসব প্রশ্নের উত্তর যারা জানে, তারা উত্তর দিয়ে থাকে। এই ধরণের ব্লগগুলোই মূলত প্রশ্নোত্তর ব্লগ।

খবরের ব্লগ

একটি ব্লগে যখন বিভিন্ন ধরণের খবর প্রকাশিত হয়, তখন সেটিকে খবরের ব্লগ বা নিউজ পোর্টাল বলা হয়ে থাকে। এ ধরণের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের খবর আপডেট করা হয়। বাংলাদেশের কোন বিভিন্ন জেলায় কি হচ্ছে, ক্রিকেট বা ফুটবল খেলার বিভিন্ন খবর, ইত্যাদি নিয়ে আমাদের দেশের কিছু নিউজ পোর্টাল ব্লগ রয়েছে। এ ধরণের ব্লগগুলোই মূলত খবরের ব্লগ।

ব্লগিং কেন  করবো?

অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারে যে, ব্লগিং কেন করবো? ব্লগিং করে আমার লাভ কি? এই প্রশ্নের দুই ধরণের উত্তর রয়েছে। একটি হচ্ছে নিজের ইচ্ছায়, অপরটি হচ্ছে ব্লগিং করে আয় করা। অনেকেই তাদের ইচ্ছেতে একটি পছন্দের বিষয় নিয়ে ব্লগিং করে থাকে। আপনার যদি খেলাধুলা নিয়ে লেখালেখি করার ইচ্ছে থাকে, তবে আপনি এই বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন একটি ব্লগ বানিয়ে। সেটি হচ্ছে আপনার পার্সোনাল ব্লগ। অথবা, আপনার পার্সোনাল ব্লগে অন্যান্য বিষয় নিয়েও লিখতে পারেন।

অপরদিকে, অনেকেই টাকা ইনকাম করার জন্য ব্লগিং করে থাকে। ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য মানুষ যেসব বিষয় জানতে বা পড়তে চায়, সেসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে হবে। একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করে, সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য এসইও করার পর, সেখানে থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। একটি ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ওয়েবসাইটে এড দেখিয়ে বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা যায়।

উপরোক্ত যেকোনো উদ্দেশ্যে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। ব্লগিং শুরু করার আগে ভেবে দেখুন, আপনি কেনো ব্লগিং করতে চান। ব্লগিং অনেক লম্বা সময়ের পথ। একদিনে সফলতা আসবে না। তাই মাঝপথে ছেড়ে দিলে চলবে না। এজন্য, ব্লগিং শুরু করার আগে পরিকল্পনা করে নিতে হবে।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো?

যারা নতুন ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন, তাদের মাঝে অনেকেই জানেন না যে কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয়। ব্লগিং করার জন্য কয়েক ধরণের প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এগুলোর মাঝে কোনটিতে ব্লগিং শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না। তো চলুন, কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন এবং কোন প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ব্লগিং করলে আপনার জন্য উপকারী হবে, এসব তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

ব্লগিং করার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম

  • গুগল ব্লগার
  • ওয়ার্ডপ্রেস

উপরোক্ত প্লাটফর্ম দুইটি ব্লগারদের মাঝে অনেক জনপ্রিয়। একেক প্লাটফর্ম এর একেক রকম ফিচার রয়েছে। নিচে আমি এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

গুগল ব্লগার

ব্লগিং করে আয় করার উপায়

আপনি যদি ফ্রিতে ব্লগিং শুরু করতে চান, তবে আপনার জন্য গুগল ব্লগার সবথেকে সেরা পছন্দ হতে পারে। গুগল ব্লগার বিগিনার ফ্রেন্ডলী। প্রতিটি নতুন ব্লগার তাদের প্রথম ওয়েবসাইট গুগল ব্লগার দিয়েই শুরু করে থাকে। গুগল ব্লগার দিয়ে একটি ওয়েবসাইট বানালে আপনি ফ্রি সাবডোমেইন পাবেন, ফ্রি হোস্টিং পাবেন। যেগুলো আপনাকে টাকা দিয়ে কিনতে হবে না। এছাড়াও, ব্লগার যেহেতু গুগলের একটি প্রোডাক্ট, তাই ব্লগার ওয়েবসাইট বানালে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড অনেক ভালো পাবেন।

গুগল ব্লগারের জন্য এখন অনেক সুন্দর এবং ফিচার রিচ ব্লগার টেম্পলেট পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন। অনেকেই গুগল ব্লগার ব্যবহার করেই ব্লগিং করছে এবং প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করছে। আপনি চাইলে গুগল ব্লগার দিয়েই ব্লগিং শুরু করতে পারেন। চাইলে একটি কাস্টম ডোমেইন কিনে আপনার ব্লগার সাইটে যুক্ত করে নিতে পারবেন।

ওয়ার্ডপ্রেস

ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ব্লগিং করে আয়

প্রফেশনালভাবে ব্লগিং করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট বানাতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানালে আপনি সব ধরণের কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন। তবে, ওয়ার্ডপ্রেস একটু ব্যয়বহুল। কারণ, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে গেলে আপনাকে একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। কমদামি হোস্টিং হলে আবার ওয়েবসাইটের স্পিড কম হবে। কিন্তু, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানালে আপনি সব ধরণের ফিচার পাবেন। প্লাগিন দিয়ে সবধরণের কাজ করতে পারবেন।

হোস্টিং এর মান ভালো হলে ওয়েবসাইটের স্পিড অনেক ফাস্ট করতে পারবেন বিভিন্ন প্লাগিন দিয়ে। এছাড়াও, ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য অনেক ফিচার রিচ টেম্পলেট রয়েছে। যেগুলো দিয়ে আপনি পোর্টফোলিও থেকে শুরু করে ই-কমার্স ওয়েবসাইট অব্দি বানাতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস বিগিনার ফ্রেন্ডলী না। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে হলে আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে হবে। তবে, ওয়ার্ডপ্রেস শেখা ততটাও কঠিন না। শুধু থিম কাস্টমাইজেশন করার সময় একটু ঝামেলা পোহাতে হতে পারে।

ব্লগিং করতে কত টাকা লাগবে?

ব্লগিং কি সেটা তো ইতোমধ্যে জেনে গেছেন। কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন সেটিও আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। ব্লগিং করে আয় করতে চাইলে আমাদের কিছু টাকা খরচ করতে হবে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক, ব্লগিং করে আয় করতে কোন কোন খাতে টাকা ব্যয় করতে হবে।

  • ডোমেইন
  • হোস্টিং
  • থিম

একটি ওয়েবসাইট বানাতে হলে ডোমেইন প্রয়োজন হবে। ডোমেইন ছাড়া ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব না। ব্লগার দিয়ে ওয়েবসাইট বানালে সাবডোমেইন ফ্রি পেয়ে যাবেন। কিন্তু, প্রফেশনাল ভাবে ব্লগিং করা টাকা ইনকাম করতে চাইলে সাবডোমেইন দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো উচিত না। এজন্য আপনাকে একটি ডোমেইন কিনতে হবে। একটি ডোমেইন এর দাম ১০০০ টাকার মতো।

গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগিং করলে হোস্টিং কিনতে হবে না। কিন্তু, আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগিং করেন, তবে আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিং এর মানের উপর নির্ভর করে দাম কম বেশি হয়ে থাকে। ৩০০০ টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য অনেক ভালো মানের হোস্টিং কিনতে পারবেন।

আরও পড়ুন – ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে

ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে ডোমেইন, হোস্টিং এর পাশাপাশি আমাদের আরেকটি জিনিস প্রয়োজন। সেটি হচ্ছে ওয়েবসাইট থিম বা টেম্পলেট। ওয়েবসাইটের থিম ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন, কিংবা ফ্রি থিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে, থিম ক্রয় করে ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফিচার পাওয়া যাবে। যারা প্রফেশনালভাবে ব্লগিং করে আয় করতে চায়, তাদের উচিত একটি ভালো টেম্পলেট কিনে ব্যবহার করা।

কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়?

ব্লগিং শুরু করলে আপনি অনেক উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট হতে পারে আমাদের সারাজীবনের স্থায়ী ইনকামের পথ। অনেকেই শুধু ব্লগিং করেই প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। ব্লগিং করে আয় করার কয়েকটি মাধ্যম রয়েছে। এগুলো নিচে উল্লেখ করে দিয়েছি।

  • ওয়েবসাইটে এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
  • প্রোডাক্ট বিক্রি করে টাকা ইনকাম
  • ব্যাকলিংক বিক্রি করে টাকা ইনকাম

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো পরিমাণ ভিজিটর আসে, তবে গুগল এডসেন্স কিংবা অন্য এড নেটওয়ার্ক এর এড দেখিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইটের ভিজিটর যখন আপনার ওয়েবসাইটে এসে এড দেখবে এবং ওয়েবসাইটে থাকা এড এ ক্লিক এর উপর ভিত্তি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং করে আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম এটি। অনেকেই শুধু গুগল এডসেন্স থেকে মাসে হাজার ডলার এর অধিক ইনকাম করে থাকে।

কোনো প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে, সেই প্রোডাক্ট কেনার জন্য আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটে। এতে করে, আপনার ওয়েবসাইট থেকে কেউ যদি উক্ত লিংক ব্যবহার করে পন্য ক্রয় করে, তবে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা পাবেন। অনেকেই বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে। সবথেকে জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ওয়েবসাইট হচ্ছে এমাজন। এমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেকেই কয়েক হাজার ডলার এর অধিক ইনকাম করে থাকে প্রতি মাসে।

একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে, সেখানে প্রোডাক্ট বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে উক্ত প্রোডাক্ট এর উপকারিতা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। ভিজিটর যদি পছন্দ করে, তবে আপনি প্রোডাক্ট বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনেক বড় ব্লগার, তাদের ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক বিক্রি করে টাকা ইনকাম করে থাকে। আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা আয় করতে চান, তবে ব্যাকলিংক বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। অনেক ওয়েবসাইট ব্যাকলিংক দেয়ার পরিবর্তে টাকা নিয়ে থাকে। আপনার ওয়েবসাইটের মান যদি ভালো হয়, ভালো ট্রাফিক আসে, তবে আপনি ব্যাকলিংক বিক্রি করতে পারেন। এভাবে করেই ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং কি?

নিজের ইচ্ছেতে কিংবা টাকা ইনকাম করার উদ্দেশ্যে এক্বটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে ভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা হলে তাকে ব্লগিং বলে।

ব্লগার কে?

যারা ব্লগিং করা তাদেরকে ব্লগার বলা হয়।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

একটি ভালো মানের ব্লগ থেকে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ১ হাজার ডলার এর অধিক ইনকাম করা যায়।

আমাদের শেষ কথা

বাংলায় আইটির আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে ব্লগিং কি এবং ব্লগিং করে আয় করার কয়েকটি মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও, কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন ও কোন সেক্টরে ব্লগিং করলে আপনার জন্য বেস্ট হবে, সেসব নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনি যথেষ্ট তথ্য পেয়েছেন। ব্লগিং শুরু করার সময় সঠিক গাইডলাইন না পেলে আমরা পথ হারিয়ে ফেলি। তাই, সময়ের সাথে সাথে এই পোস্টটি আমি আপডেট করে দিবো আরও নতুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে। বাংলায় আইটি ওয়েবসাইট ভিজিট করলে আপনি নিত্যনতুন ব্লগিং টিপস, অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় এবং টেকনোলজি নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।

Leave a Comment